ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেচাকেনার ধারা আমাদের দেশে খুব বেশিদিনের নয়। তবে খুব দ্রুত জনপ্রিয় ও প্রসার হচ্ছে। ইন্টারনেট হলো প্রথম স্থান যেখানে বেশিরভাগ ক্রেতাই পণ্য সম্পর্কে তথ্য খুঁজেন। অনলাইনে ঘরে বসে কয়েকটা ক্লিকে চাহিদা জানানো যাচ্ছে, আবার নির্দিষ্ট সময়ে পণ্যও চলে আসছে নিজের ঠিকানায়। সিম্পল তাইনা? বই,পোশাক, চাল-ডাল-সবজি, ইলেকট্রনিকস পণ্য কিংবা কোনো সফটওয়্যার —সবই বেচাকেনা করা যায় অনলাইনে। আর এটাই ই-কমার্স। আর ই-কমার্সে তরুণ উদ্যোক্তাদের আগ্রহও বেশি।  পণ্য বিক্রি করতে যেমন দোকান লাগে, ই-কমার্সেও তা-ই। একটি ই-কমার্স সাইট এখানে দোকান হিসেবে কাজ করে।

 

অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটা করছে। অনলাইন শপিং ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ই-কমার্স ব্যবসাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। ই-কমার্স এমন একটি ধারণা ছিল যা নিছক বই সরবরাহের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ! অথচ আজকের বিশ্বে ইউজাররা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রায় সবকিছু খুঁজে পেতে চায়। প্যানডেমিকের সময় এই ট্রেন্ড আরো বিস্তৃতি পেয়েছে। অনলাইন কেনাকাটার দিকে গ্রাহকদের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ই-কমার্স হল রিটেল বিজনেসের ভবিষ্যৎ। ব্যবসাকে ডিজিটাল আকার দেওয়া সত্যিই একবিংশ শতাব্দীতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একজন ব্যবসায়ী একটি ই-কমার্স স্টোর থেকে যে বেনিফিটগুলো পেতে পারে আসুন তা আলোচনা করা যাক।

 

১। একটি ই-কমার্স স্টোর ব্যবসায়ের জন্য সবসময় উন্মুক্ত থাকে। যার মানে হলো আপনার পণ্য দিন-রাত ২৪ ঘন্টা বিক্রি করতে পারেন। এর ফলে আপনার বিক্রি বাড়ানো এবং আরও অসংখ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ।

২। অফলাইন স্টোরগুলি লোকাল ক্লায়েন্টদের সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু ই-কমার্স ওয়েবসাইট জিওগ্রাফিকাল ব্যারিয়ারকে ভেঙে দেয়।

৩।  একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবসাকে ব্র্যান্ড হিসেবে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

৪। ই-কমার্সের একটি প্রধান সুবিধা হলো, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আসা কাস্টমারদের সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন। যা পরবর্তীতে কাস্টমারদের ডেটা অ্যানালাইসিস থেকে শুরু করে মার্কেটিং, যেকোনো প্রয়োজনে খুব ইফেক্টিভলি ব্যবহার করতে পারবেন। 

৫। অনলাইন স্টোরের পরিচালনার জন্য কোন অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হয় না,যা খরচ কমাতে সাহায্য করে।

৬। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিভিন্ন উপায়ে আপনার সেলস বাড়াতে পারে। আপনি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং ধরে রাখতে ডিসকাউন্ট এবং প্রমোশনাল অফারও পরিচালনা করতে পারেন।

৭। যারা শুধুমাত্র ফেসবুক পেইজ থেকে ব্যবসা পরিচালনা করেন তাদের ক্ষেত্রে অসংখ্য ফেসবুক পেইজের ভীড়ে একটি ওয়েবসাইট আপনার বিশ্বস্ততা বাড়াবে। ফলে নতুন কাস্টমার অর্ডার করতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।

৮। ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনাকে রিয়েল টাইম ডেটা দিবে। এর ফলে ব্যবসা সম্প্রসারণসহ যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে।

৯। ই-কমার্স স্টোরে রিয়েল টাইম ইনভেন্টরি ডেটা থাকার ফলে স্টক সংক্রান্ত চিন্তা দূর হবে। ফলে কোনো প্রোডাক্টের স্টক কমে আসলে এলার্ট পেয়ে যাবেন অটোমেটিক। স্টক না থাকার কারণে গ্রাহক হারাতে হবেনা আর।

১০। বিজনেস অটোমেশন কেবলমাত্র আপনার অর্ডার ফ্লেক্সিবিলিটি দিবে তা কিন্তু নয়। এছাড়াও অটো জেনারেটেড হিসাব-নিকাশ সহ আরও নানা সুবিধা পাচ্ছেন। এর ফলে সময় বাঁচবে, অর্থও বাঁচবে।

ই-কমার্স স্টোর থাকার দশ সুবিধা !
Scroll to top