ব্যবসার খুঁটিনাটি সব কিছুর হিসাব রাখা ছাড়া কোনো ব্যবসা সফল হওয়া যায় না। যেকোনো ব্যবসার জন্যই কমপ্লিট হিসাব হলো মূলভিত্তি। ‘Money’ হলো ব্যবসার অনেকগুলো উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মূলধন কিভাবে ইনভেস্ট করবেন তার সঠিক পরিকল্পনা ও প্রয়োগই আপনার ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার নিজের কিংবা কোনো ইনভেস্টরের টাকা হোক; এর সার্থক ব্যবহারের উপরেই একটি ব্যবসা সাস্টেইন করে। তাই আপনার ব্যবসার টাকা কিভাবে কোন খাতে খরচ হচ্ছে সেটার সম্পূর্ণ হিসাব আপনার থাকতে হবে। আর ইনভেস্ট করা টাকা আপনার ব্যবসার স্বাস্থ্য ভাল করছে না কি খারাপ করছে সেটা থেকেই আপনি আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ঠিক করতে পারবেন। কারন বেশি বা অপরিকল্পিত খাবার খেলে যেমন আপনার স্বাস্থ্য খারাপ হবে আবার কম খেলেও আপনি রুগ্ন হয়ে যাবেন। ব্যবসাও আপনার স্বাস্থ্যের মত। তাই অযথা টাকা নষ্ট করলে আপনার ব্যবসারই ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু সম্ভব নয়। তাই ব্যবসার খুঁটিনাটি সব কিছুই নখদর্পণে রাখা বেশ জরুরী।

আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ হাতে কলমে হিসাব রাখতে অভ্যস্ত। আবার এই হাতে কলমে হিসাব রাখতে গিয়ে অনেক সময় লোকসানও গুনতে হয়। উন্নত দেশগুলোতে ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্ত হিসাব নিকাশ অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে করে থাকেন। কারণ তারা বিশ্বাস করে মানুষের ভুল হতে পারে, কিন্তু সফটওয়্যার ভুল করবে না। অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবসা পরিচালনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা আধুনিক ব্যবসাতে অটোমেশন সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করব।

অটোমেশনের মাধ্যমে যা যা করতে পারেন করতে পারেন ও আপনার লাভ যা হবে-

১. অটোমেশন সফটওয়্যারে repetitive কাজ করতে হয়না এবং পুরো প্রক্রিয়াটিকে সুশৃঙ্খল করে তোলে। ফলে প্রয়োজনীয় সময় কমিয়ে নিয়ে আসে। যা কৌশলগত দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে আপনার মূল্যবান সময় যেমন বাঁচিয়ে দিবে তেমনি প্রোডাক্টিভিটিও বাড়াবে।   

২. অটোমেশন সফটওয়্যার ডেটা এন্ট্রি, হিসাব এবং অর্ডার প্রসেসিংয়ের মতো কাজগুলোতে হিউম্যান এররের মাধ্যমে সৃষ্ট সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি এবং রেপুটেশনাল ড্যামেজ হ্রাস করে। ব্যবসায় ডিজিটালাইজেশন ব্যবসায়িক কার্যকলাপের নির্ভুলতা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।  হাতে-কলমে কাজ করতে গিয়ে যে ভুল হওয়ার আশংকা ছিল, সফটওয়্যার ব্যবহারে তা আর থাকবে না।

৩. অটোমেশন সফটওয়্যারের স্কেলেবিলিটি ক্রমবর্ধমান অপারেশনাল চাহিদাকে সহজেই পরিচালনা করে, বর্ধিত টাস্ক ভলিউম এবং ডেটাকে সহজেই হ্যান্ডেল করা যায়। যা ব্যবসায়ের সম্প্রসারণকে সহজ করে।

৪. এধরনের সফটওয়্যারগুলো রিসোর্স অপ্টিমাইজ করে অপারেশনাল ও লেবার কস্টিং কমিয়ে আনে।

৫. কাস্টমার বিহ্যাভিয়ার,মার্কেট ট্রেন্ডস, অপারেশনাল ম্যানেজমেন্টের জন্য ডেটা প্রোভাইড করে যার মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। এক ক্লিকের মাধ্যমে মুহূর্তেই যেকোনো তথ্য বা রিপোর্ট (সেলস রিপোর্ট, স্টক রিপোর্ট ইত্যাদি) আপনার সামনে চলে আসবে। কোনো মার্কেটিং করতে চাইলেও তাও পারবেন এর মাধ্যমে !

৬. হিসাব-নিকাশের জন্য রেজিস্টার বুক বা অন্যান্য হিসাবের খাতা নিয়ে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হবেনা। সব হিসাব একেবারে অটমেটিক্যালি। এর ফলে আপনার যেমন সময় বাঁচবে তেমনি আপনার খরচও অনেক কমিয়ে দিবে।

৭. ইনভেন্টরির কি অবস্থা, রিটার্ন প্রোডাক্ট কত? ড্যামেজ প্রোডাক্ট কত? সাপ্লাইয়ারদের সাথে লেনদেনের কি অবস্থা? বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুসারে ব্যবসার রিপোর্ট জানতে পারবেন। কোন প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি সে অনুযায়ী আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার কোন প্রোডাক্টের স্টক বাড়ানো উচিত।

৮. গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো হারিয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকছে না। সবকিছু জমা থাকবে সফটওয়্যারে। তাই চাহিদামত সার্চ দিয়ে মুহূর্তেই বের করে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট।

৯. ব্যবসায় কত টাকা খরচ করছেন, কি কি খাতে খরচ হচ্ছে, যে টাকা খরচ করছেন সেসব টাকার ফিড ব্যাক কেমন তা জানতে পারবেন মূহুর্তেই।

১০. মার্কেটিং এর জন্য কোথায় কত টাকা খরচ করেছন,যে যে মাধ্যমে মার্কেটিং করতেছেন সেই সেই মাধ্যম থেকে কেমন রেস্পন্স পাচ্ছেন। আপনি যদি একাধিক মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচারণা করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই তা হিসাব রাখতে হবে।

১১. বর্তমান বিশ্বের ডায়নামিক বিজনেস ওয়ার্ল্ডে এডাপ্টাবিলিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমারের চাহিদা ও মার্কেটের পরিবর্তনের সাথে দ্রুত রেসপন্স করার ক্ষেত্রে অটোমেশনের জুড়ি মেলা ভার।

এসব ব্যবসায়িক সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আপনি  এই ব্যাপারগুলো স্ট্রাকচারড ওয়েতে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। আপনার পরবর্তী বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কেও দিবে গুরুত্বপুর্ণ ইনসাইট ! ব্যবসায় সাধারণত কি কি সফটওয়্যার ব্যবসার জন্য প্রয়োজন হয়?

  •  ইনভেন্টরি সফটওয়্যার
  • প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
  •  অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার
  • শপ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

আপনার সবগুলো চাহিদাকে এক করে আমাদের ব্যাপারী আপনাকে দিবে ওয়ান স্টপ বিজনেস সলিউশন। ব্যবসা সহজে পরিচালনা করার চিন্তা থেকেই ব্যাপারীর উৎপত্তি। খুব সহজে ও কম খরচে ব্যাপারীর মাধ্যমে উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এক জায়গা থেকেই সেন্ট্রালি ইন্টিগ্রেটেড ই-কমার্স ওয়েবসাইট, নিজস্ব ব্র‍্যান্ডিংয়ে মোবাইল অ্যাপ, পণ্য এড করা, ইনভেন্টরি, বিক্রি এবং আয়-ব্যয় এবং বকেয়া হিসাব, অ্যানালাইসিস, প্রমোশন সহ ব্যবসা পরিচালনার যাবতীয় সব কাজ করতে পারবেন। পণ্যের যাবতীয় তথ্য, ছবি ও মূল্য ওয়েবসাইটে এড করে দিলে কাস্টমার তা অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে পণ্য দেখে অর্ডার করতে পারবে। আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পণ্য আলাদা আলাদাভাবে অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবেনা, যেকোনো একটি মাধ্যমে এড করলেই তা সব জায়গাতে অটোমেটিক আপডেট হয়ে যাবে ! বিজনেসকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা বর্তমানে কেবল কোনো ট্রেন্ড নয়,বরং এটি প্রয়োজনীয়তা। এগুলোর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাকে একটি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেন।

বিজনেস অটোমেশন সফটওয়্যার : যা আপনার ব্যবসার বিকাশ ঘটাবে
Scroll to top